বিশেষ সতর্কতা
গত বিশ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আইডি কার্ডের কাজ অন্যান্য কাজ থেকে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয় এজন্য যে প্রতিটি কার্ডের ডাটা এবং ছবি ভিন্ন ভিন্ন থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে একটি ডিজাইন ওকে হয়ে গেলে সবগুলো একরকম হয়ে প্রিন্ট হয়, আইডি কার্ডের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু সংবেদনশীল। দক্ষতার অভাব, অতিরিক্ত মুনাফার জন্য স্ক্রীণ প্রিন্টের ফিতা দিয়ে মুনাফার জন্য কাজটি করা বা মিডিয়া হয়ে কাজটি অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নিজে লাভবান হওয়া বা প্রিন্টিং জগতের কাউকে কাজটি দেয়া অথবা আইডি কার্ডের মেশিন নিজের নাই কিন্তু অন্য জায়গা থেকে কাজটি করে এনে সরবরাহ করা যা পরবর্তীতে ১০/২০টি কার্ডের জন্য বিশেষ প্রয়োজনে একদম সেবা পাওয়া যায় না। দেখা যায় হয় লোকটি হারিয়ে গেছে নাহয় কাজটি করতে অনীহা কারণ আপনার ভুল নির্বাচনের কারণে শত শত শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল ভুল বানান, অসম্পূর্ণ সরবরাহের কারণে আপনাকে বা কমিটির সবাইকে পরতে হয় বিব্রতকর বা অপ্রিতিকর কোন ঘটনার শিকার যা পরবর্তীতে আইডি কার্ডের ব্যাপারে অনীহা তৈরি হয়। এমন তিক্ত বাস্তব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বহু অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক/কমিটি-র সদস্যগণ। আইডি কার্ডের জন্য ইন্টারনেট – কমপিউটারের দক্ষ ব্যবহারে যেহেতু টেবিলে বসেই সব কিছু করা সম্ভব হয় ২/৩টি টিপস জানা থাকলে, যা আমরা বলে দিচ্ছি এবং মুহূর্তেই বুঝে যাচ্ছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমপিউটার শিক্ষক বা কমপিউটার অপারেটর। নিম্নমানের ID Card বলতে আমরা বলি আইডি কার্ডের সাথে ১/২ টাকা গজের ফিতার সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম স্ক্রীণ প্রিন্ট দিয়ে লিখা যা মার্চের পরই বৃষ্টি-বাদলের পানি লেগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম হয়ে যায় বিকৃত যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। কারণ ফিতার দাম ৫ টাকা কার্ডের দাম ২৫ টাকা এবং কভারের দাম ৫টাকা হয়ে গেল ৩৫ টাকায় আইডি কার্ডের কাজ তাহলে কেন আবার ৬০ টাকায় আইডি কার্ডের কাজ করা। এটাই যদি সুতা দিয়ে বুনানো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম লিখা থাকতো ২০ টাকার নীচে কোন অবস্থায় ক্রয় করা যেত না ফিতা কারণ রপ্তানীমুখী কমপিউটার প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে এই ফিতা বের হয়।
পুরো দেশে ৫কোটির অধিক শিক্ষার্থী আছে যাদের জন্য এই লিখাটা ভবিষ্যতে যেন কোন প্রকৃত ব্যবসায়ী ছাড়া অব্যবসায়ী, অদক্ষ বা নিম্নমানের ফিতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণার সুযোগ না পায়। অবশ্যই একটি প্লাস্টিক আইডি কার্ডের সাথে সুতা দিয়ে বুনানো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম লিখা ফিতা এবং নূন্যতম ৫টাকার আইডি কভার থাকলেই মানসম্পন্ন বলা যায়। সাথে ৩ বছরের জন্য আইডি কার্ডের গ্যারান্টি এবং ৩ বছরের জন্য ফিতার ক্লিপের গ্যারান্টি থাকবে যা জং পরবে না তাহলেই ঐ প্রতিষ্ঠানে কাজটি দিতে বাধা থাকার কথা নয় অবশ্যই অতীতে নূন্যতম ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ করেছে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ থাকতে হবে যেন আপনি সহজেই ঐ প্রতিষ্ঠানে ফোন করে যেনে নিতে পারেন তাদের সেবার মান সম্পর্কে।
প্রতি ক্লাশ বা বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা ফোল্ডার করতে হবে ছবির সাথে যেন ডাটার মিল থাকে তাহলে আর কোন সমস্যা থাকে না।
মোবাইল নাম্বারগুলিও দিতে হবে নমুনা কপি অনুযায়ী সারিবিদ্ধভাবে সাজিয়ে (লাল দাগ দেয়া চিহ্নিত আছে যা ভুল) চেক করতে হবে দশ ডিজিট, বার ডিজিট বা ১১ ডিজিটের কম বেশি চেক করে বাদ দিতে হবে সাথে সাথে ডাবল নাম্বার থাকলেও বাদ দিতে হবে। পুরো কাজটি চেক করে তারপর পাঠাতে হবে। বাংলা মেসেজের ক্ষেত্রে মেইলে বা ফেসবুকের পেজে লিখলেও চলবে আর নাহয় কাগজের মধ্যে হাতে লিখে ছবি তুলে ই-মেইলে এটাচ করে দিলেও চলবে। বাংলা মেসেজ চলে যাবে অবশ্যই দুটি মেসেজ হবে ইংরেজীর ক্ষেত্রে ১৬০ ডিজিট (একটা স্পেসও একটা ডিজিট) দিয়ে লিখে তারপর মোবাইলে পাঠাতে হবে বাংলার ক্ষেত্রের ৭০/৭২টি ডিজিটে একটি মেসেজ হয়। শোকাহত কোন ঘটনা হলে তাৎক্ষনিক পাঠানো হবে এছাড়া অন্য মেসেজের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টা আগেই মেসেজ পাঠাতে হবে।
আমরা কিছুই করতে পারবো না শুধু শিক্ষার্থীদের থেকে সংগ্রহ করা আইডি ফরম এবং সাথে পিনযুক্ত ছবি সহ ফরম দিব সব কাজ আপনাদের?
যদি এমন হয় তাহলেও আমরা আনন্দচিত্তে প্রস্তুত খুব স্বাচ্ছন্দ্যেই করতে রাজি আছি শুধু শিক্ষার্থীদের নাম- ক্লাশ – রুল – জন্ম তারিখ –রক্তের গ্রুপ এবং মোবাইল নাম্বারগুলি যখন কমপিউটারে কম্পোজ শেষ হয়ে যাবে আপনাদের যেকাউকে দায়িত্ব নিতে হবে প্রুফ দেখার জন্য বিশেষ করে মোবাইল নাম্বারের ডিজিটগুলি থাকে ভীষণ সংবেদনশীল একজনের মেসেজ অন্যজনে চলে গেলে এর জবাবদিহী আপনাকেই করতে হচ্ছে কারণ মেসেজের শেষে যুক্ত হয় আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, পদবী এবং আপনার নাম মোবাইল নাম্বার।