ছবির দোকান/স্টুডিও

ডিয়ার স্যার, যদি ভর্তি ফরম থেকে ছবিগুলো নিয়ে ফরমে পিনযুক্ত করেন অথবা শিক্ষার্থী কর্তৃক ছবি সংগ্রহ করে ফরমে পিনযুক্ত করে তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি ছবি না থাকে বা নতুন করে ছবি তুলে ফরমে সংযুক্ত করা হলে প্রতি ছবির জন্য ৬০ থেকে ৮০ টাকা খরচ হয়ে যাবে। এজন্য ডিজিটাল ক্যামেরা হাতের নাগালে থাকায় আজ আইডি কার্ডের কাজগুলো খুব সহজ হয়ে গেছে। কারণ শুধু ছবি তোলার জন্যই যেখানে দিতে হয় ৬০ থেকে ৮০ টাকা! মোটামুটি মানের পাসপোর্ট সাইজের ছবি তোলার অভিজ্ঞতা আছে এবং স্টুডিওর ল্যাব নয় একটি কালার প্রিন্টার আছে এমন ছোট ছোট স্টুডিও আপনার খুব কাছাকাছিই আছে। যারা ছবি তুলে আবার দুই কপি ছবি দিয়ে দিবে শিক্ষার্থীকে, এজন্য ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা নিবে। ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে পুরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ছবি তোলার জন্য আপনারই প্রতিষ্ঠানেই রৌদ্রজ্জল কোন স্থানে পিছনে একটি রঙিন কাপড় দিয়ে ছবি তুলবে এবং তাঁর নিজস্ব কমপিউটারে এডিট করে দুই কপি ছবি দিবে। আপনার সাথে চুক্তি থাকবে পুরো ছবিগুলোর সফটকপি আপনাকে দিতে হবে অবশ্যই আইডি নাম্বার দিয়ে আপনি চেক করে এবার পাঠাতে পারেন শিক্ষাবোর্ডে, আইডি কার্ডে, অন্যান্য স্থানে এবং সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন শিক্ষাবর্ষ দিয়ে আর্কাইভ করে। ছবি এবং ডাটা রাখার জন্য ই-মেইল দারুন এক মাধ্যম আর বিকল্প মাধ্যম হলো মেমোরি, ডেস্কটপের হার্ডডিস্ক, পেন ড্রাইভ বা ল্যাপটপে তবে সবগুলোতেই ঝুকি আছে কিন্তু একাধিক ই-মেইলে সংরক্ষন করলে কোন ঝুঁকি নেই যখন তখন ডাউনলোড করে নেয়া যেতে পারে।

প্রতি ক্লাশ বা বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা ফোল্ডার করতে হবে ছবির সাথে যেন ডাটার মিল থাকে তাহলে আর কোন সমস্যা থাকে না।

মোবাইল নাম্বারগুলিও দিতে হবে নমুনা কপি অনুযায়ী সারিবিদ্ধভাবে সাজিয়ে (লাল দাগ দেয়া চিহ্নিত আছে যা ভুল) চেক করতে হবে দশ ডিজিট, বার ডিজিট বা ১১ ডিজিটের কম বেশি চেক করে বাদ দিতে হবে সাথে সাথে ডাবল নাম্বার থাকলেও বাদ দিতে হবে। পুরো কাজটি চেক করে তারপর পাঠাতে হবে। বাংলা মেসেজের ক্ষেত্রে মেইলে বা ফেসবুকের পেজে লিখলেও চলবে আর নাহয় কাগজের মধ্যে হাতে লিখে ছবি তুলে ই-মেইলে এটাচ করে দিলেও চলবে। বাংলা মেসেজ চলে যাবে অবশ্যই দুটি মেসেজ হবে ইংরেজীর ক্ষেত্রে ১৬০ ডিজিট (একটা স্পেসও একটা ডিজিট) দিয়ে লিখে তারপর মোবাইলে পাঠাতে হবে বাংলার ক্ষেত্রের ৭০/৭২টি ডিজিটে একটি মেসেজ হয়। শোকাহত কোন ঘটনা হলে তাৎক্ষনিক পাঠানো হবে এছাড়া অন্য মেসেজের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টা আগেই মেসেজ পাঠাতে হবে।
আমরা কিছুই করতে পারবো না শুধু শিক্ষার্থীদের থেকে সংগ্রহ করা আইডি ফরম এবং সাথে পিনযুক্ত ছবি সহ ফরম দিব সব কাজ আপনাদের?
যদি এমন হয় তাহলেও আমরা আনন্দচিত্তে প্রস্তুত খুব স্বাচ্ছন্দ্যেই করতে রাজি আছি শুধু শিক্ষার্থীদের নাম- ক্লাশ – রুল – জন্ম তারিখ –রক্তের গ্রুপ এবং মোবাইল নাম্বারগুলি যখন কমপিউটারে কম্পোজ শেষ হয়ে যাবে আপনাদের যেকাউকে দায়িত্ব নিতে হবে প্রুফ দেখার জন্য বিশেষ করে মোবাইল নাম্বারের ডিজিটগুলি থাকে ভীষণ সংবেদনশীল একজনের মেসেজ অন্যজনে চলে গেলে এর জবাবদিহী আপনাকেই করতে হচ্ছে কারণ মেসেজের শেষে যুক্ত হয় আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, পদবী এবং আপনার নাম মোবাইল নাম্বার।