About Us
আমাদের কথা :
১৯৯৪ সালে ম্যাকিন্টোস মেশিন দিয়ে পথ চলা শুরু প্রিন্টিং জগতে এবং
রেডি সেট গো নামে একটি সফটওয্যার ছিল তারপর আসে কোয়ার্ক
এক্সপ্রেস নামে একটি সফটওয়্যার এখনও ভীষন জনপ্রিয় এই সফটওয়্যারের
কল্যাণে টিকে গেলাম কমপিউটার জগতে। কোয়ার্কের কাজগুলিতে আত্মতৃপ্তি
না পেয়ে গ্রাফিক্স হাউজে যোগ দিলাম আমাদের দেশের প্রথম ২/৩টি হাউজের
মধ্যে কালার স্ক্যান নামে পুরানা পল্টনের একটি প্রতিষ্ঠানে দারুন সব কাজ
হচ্ছিল সেখানে কিছুদিন আগেও নাকি এই কাজগুলি সিঙ্গাপুর থেকে করে
নিয়ে আসতো এই কাজগুলিই এখানে হচ্ছে। সাবানের কভার, চায়ের প্যাকেট,
গোল্ড লিফ সিগারেটের প্যাকেট, আজাদ প্রোডাক্টের কাজ, সিডি কভারের
প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে এমন কিছু বাদ ছিল না সেই হাউজে সব কিছুই ছিল
দৃশ্যমান কাজ। ২০০৪/৫ থেকে শুরু হলো বাংলাদেশে প্রথম আউটসোর্সিং
কাজ আফতাব-ডেনমার্কের যৌথ উদ্যোগে অনলাইন গ্রাফিক্সের কাজ সেখানেই
যাত্রা শুরু হলো বিদায় হলো দৃশ্যমান কাষ্টমারের সাথে সরাসরি কাজ। শুরু হলো
অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বায়ারদের সাথে অনলাইনে কাজ করার অভিজ্ঞতা
অনেক অনেক অভিজ্ঞতা হলো ইউরোপিয়ানদের সাথে সরাসরি অংশীদারি কাজের
দক্ষতায়…. আমেরিকা-ইউরোপের বিভিন্ন ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইন্সট্রাক্টর
কর্তৃক সরাসরি প্রশিক্ষণে ধাপে ধাপে আমাদের শেখানো হলো কিভাবে অনলাইনে
কাজ করতে হয়, কিভাবে একজনের অসমাপ্ত কাজ অন্যজনও করতে পারে।
জটিল জটিল সব ডিজাইন, লোগো কত সহজে করা যায় কিভাবে আপলোড
ডাউনলোড করতে হয়। কৃতজ্ঞ এবং আভিভূত হয়ে গেলাম ওদের কাছে ধৈর্য্য
নিয়ে এত সুন্দর ভাবে আমাদেরকে বুঝিয়ে দেযার জন্য…. নিজের দেশীয়
অভিজ্ঞতাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও বেশি করে কাজ করার সুযোগে দারুন
সব টিপস পেলাম পাঁচ বছর ধরে, যা আজ এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ৪০
হাজারেরও বেশি স্কুল-কলেজে শেয়ার করছি ফেসবুকে, গুগুলে, মোবাইলে,
এসএমএস-ইমেইলের মাধ্যমে অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকদের সাথে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছি
শিক্ষার্থীর উপকরণগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টেবিলে বসেই হাতে পেয়ে যাবে শুধুমাত্র
কমপিউটারকে ব্যবহার করে ইন্টারনেটের কল্যানে, মোবাইল ব্যাংকিং এবং কুরিয়ার
সার্ভিসের সেবায় বাংলাদেশ হয়ে গেছে আজ ছোট্ট একটি গ্রাম। গত বিশ বছর ধরে
অনেক প্রতিবন্ধকতা, কমপিউটারের প্রতি প্রবীণ/নবীন শিক্ষকদের অনিহা,
কমপিউটারের প্রতি ভীতি এবং হীনমন্যতার মধ্যেও দেশের ৪০ হাজার স্কুল -
কলেজের মধ্যে মাত্র অল্প কিছু অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক আছেন যারা ভীতিকে
দূর করে কমপিউটারকে ব্যবহার করছেন নিজেই বা একজন সহকারি রেখে
দিয়েছেন সবসময় দিক নির্দেশনা দিয়ে কাজ করাচ্ছেন এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকদের সার্চ দিয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি শুধু তাদের সাথেই কাজ
করতে পারছি। অন্যদের সাথে সবকিছুই মিলে যায় কিন্তু সরাসরি কমপিউটার/ইন্টারনেটের
সংযোগ না থাকার কারণে কাজটি জটিল হয়ে যায় এবং সরাসরি দৃশ্যমান কাজ করতে
হয় বিধায় কাজটি বাতিল হয়ে যায়। প্রতি মূহৃর্তেই চ্যালেঞ্জ থাকে কাজটি হতে হবে
শতভাগ ডিজিটাল অনলাইনে এবং শিক্ষার্থীর উপকরণগুলি পাবে টেবিলে বসেই
এমন আত্ববিশ্বাস তৈরি করছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের
পুরো বাংলাদেশে কাজ করছি ডিজিটাল ধারায় এবং ভার্চুয়াল যোগাযোগ ব্যবস্থায়
বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের জিলা-উপজেলায় তৃণমূল পর্যায়ে সেবা দেয়ার
মানসিকতায় শর্ত একটাই ইন্টারনেটে কাজটি রিসিভ করতে হবে বা
সম্পাদন করতে হবে।
বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে ত্রিশ হাজারের অধিক স্কুল-মাদরাসা-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অনুলিপি একটি ফাইলে করে ই-মেইলে – মোবাইলে বাংলা মেসেজ করে পাঠিয়েছি যেমন ভাবে আপনি পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জে আমাদের একটি দৃশ্যমান নিজস্ব স্থায়ী অফিস আছে শুধুমাত্র সাইনবোর্ড সর্বস্ব সরাসরি দৃশ্যমান কোন কাজ নেয়া – দেয়া কিছুই হয় না পুরো কাজটিই হয় অনলাইনে ইন্টারনেটে অথবা কুরিয়ারে প্রেরণের মাধ্যমে তাই দৃশ্যমান কোন যোগাযোগ নিস্প্রয়োজন।
ধন্যবাদ
উদয় হোসেন